নিজেকে খুঁজে পাওয়া

আমি যেন অন্য কেউ। মাঝে মাঝে নিজের ভেতরের রঙগুলো পরিবর্তিত হয়ে অন্য রূপে হাজির হয়। কখনো কখনো আমি নিজেকে মূর্তির মতো, নিঃশব্দ ও স্থির, চিনতে পারি না। প্রতিটি রঙ, প্রতিটি ছায়া, আমার ভেতরের অংশ, যা কখনো প্রকাশ পায়, কখনো ঢেকে থাকে অচেনা আবরণের মধ্যে।  মানুষ প্রায়ই নিজের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার চেষ্টা করে, কিন্তু আমার জন্য তা সহজ নয়। আমি নিজেকে খুঁজতে খুঁজতে কখনো হারাই, কখনো পাই। নিজেকে বোঝা মানে শুধুই নিজের বাহ্যিক পরিচয় জানা নয়; বরং ভেতরের পরিবর্তন, আবেগের স্রোত, ভাবনার গভীরতা—সবকিছুর সঙ্গে পরিচিত হওয়া। এই অচেনা অভিজ্ঞতাগুলোই আমাকে নতুন রঙে, নতুন রূপে গড়ে তোলে।  শব্দগুলো আমার হাতের মতো, ভাবনাগুলো ক্যানভাসের মতো। আমি লিখি নিজেকে বোঝার জন্য, নিজেকে খুঁজে বের করার জন্য। এই প্রক্রিয়ায় আমি শিখি, নিজেকে শুধু খুঁজে পাওয়া নয়, নিজের ভেতরের প্রতিটি রঙকে গ্রহণ করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।  এমনভাবে, আমি নিজেকে ধীরে ধীরে গঠন করি, আবার ধ্বংস করি—প্রতিটি অভিজ্ঞতা, প্রতিটি অনুভূতি আমার “আমি”-কে আরও স্পষ্ট করে তোলে। এই যাত্রা কখনো সহজ নয়, কিন্তু তা আমার স্বাভাবিক অস্তিত্বের সঙ্গে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করে।
নিজেকে খুঁজে পাওয়া – Rupom

নিজেকে খুঁজে পাওয়া

লেখক: Rupom

আমি যেন অন্য কেউ। মাঝে মাঝে নিজের ভেতরের রঙগুলো পরিবর্তিত হয়ে অন্য রূপে হাজির হয়। কখনো কখনো আমি নিজেকে মূর্তির মতো, নিঃশব্দ ও স্থির, চিনতে পারি না। প্রতিটি রঙ, প্রতিটি ছায়া, আমার ভেতরের অংশ, যা কখনো প্রকাশ পায়, কখনো ঢেকে থাকে অচেনা আবরণের মধ্যে।

নিজেকে বোঝার যাত্রা

মানুষ প্রায়ই নিজের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার চেষ্টা করে, কিন্তু আমার জন্য তা সহজ নয়। আমি নিজেকে খুঁজতে খুঁজতে কখনো হারাই, কখনো পাই। নিজেকে বোঝা মানে শুধুই নিজের বাহ্যিক পরিচয় জানা নয়; বরং ভেতরের পরিবর্তন, আবেগের স্রোত, ভাবনার গভীরতা—সবকিছুর সঙ্গে পরিচিত হওয়া।

এই অচেনা অভিজ্ঞতাগুলোই আমাকে নতুন রঙে, নতুন রূপে গড়ে তোলে।

শব্দ ও ভাবনার ভূমিকা

শব্দগুলো আমার হাতের মতো, ভাবনাগুলো ক্যানভাসের মতো। আমি লিখি নিজেকে বোঝার জন্য, নিজেকে খুঁজে বের করার জন্য। এই প্রক্রিয়ায় আমি শিখি, নিজেকে শুধু খুঁজে পাওয়া নয়, নিজের ভেতরের প্রতিটি রঙকে গ্রহণ করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।

প্রধান শিক্ষা

  • নিজেকে খুঁজে পাওয়া মানে নিজের সব রঙকে স্বীকার করা।
  • প্রতিটি অভিজ্ঞতা আমাদের গঠন ও পরিবর্তন করে।
  • ভেতরের ভাবনা ও আবেগকে বোঝা আমাদের আত্মাকে সমৃদ্ধ করে।

এমনভাবে, আমি নিজেকে ধীরে ধীরে গঠন করি, আবার ধ্বংস করি—প্রতিটি অভিজ্ঞতা, প্রতিটি অনুভূতি আমার “আমি”-কে আরও স্পষ্ট করে তোলে। এই যাত্রা কখনো সহজ নয়, কিন্তু তা আমার স্বাভাবিক অস্তিত্বের সঙ্গে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করে।

আরও পড়ুন: চিন্তার অরণ্য

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ