শৈশবের সোনালি যুগের স্মৃতি
তখন সদ্য আমার সোনালি যুগের শুরু। জননী আমাকে খুব স্নেহ করে একটা ব্যাগ কিনে দিলেন। সেই ব্যাগ কাঁধে নিয়ে আমি সরাইপাড়া হাজী আব্দুল আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়-এ যেতাম। 🎒
আমার একজন বান্ধবী ছিল। তার এক বান্ধবী আমাকে ভালোবেসে চিঠি দিত (কিন্তু আমি কিছুই বলতাম না)। মাঝে মাঝে খাতার পাতায় ছোটখাটো কিছু লিখে দিত। তার প্রেমময় পত্র পেয়ে নিজেকে বিশাল কিছু মনে হতো। 😌
কারণ সেই বয়সে আমি আবার নিজের বিদ্যাপীঠের বই না পড়ে উপন্যাস পড়তাম খুব; এতটাই ভালোলাগতো যে মাঝে মাঝে একদিনেই দুইটা উপন্যাস শেষ করে ফেলতাম। 📚
যাই হোক, তখন তো ঈদের কার্ড দেওয়ার প্রচলন ছিল। সেও আমাকে একটা ঈদ কার্ড দিয়েছিল। তার হয়ে উকালতি করতো আমার সেই বান্ধবী—যাকে আবার আমি-ই পছন্দ করতাম। 😉
মজার ব্যাপার হলো, তখন তাকে আবার আমরা যার কাছে পড়তাম সেই বড় ভাই-ও পছন্দ করতো। কিন্তু সে আমাকে কোনোদিন বলেনি। একদিন উপন্যাস পড়তে গিয়ে উপন্যাসের ভেতর থেকে সেই বড় ভাইয়ের প্রেমপত্র পেয়ে যাই! তারপর থেকে তার সাথে আমার আর তেমন কথা হয় নাই বহুদিন। 😅
তারপর একদিন আমাকে যে প্রেমপত্র দিত, সেই বিষয়টা আবার বাসায় জানাজানি হয়ে গেল। মা তখন তার মনের মতো করে জাঠা দিয়ে পিটালেন। আমি যতই বললাম, “মা, তোমার সুপুত্রের কোনো দোষ নাই—ওই মেয়েই আমাকে দিয়েছে,” মা কেউ শুনলো না। 😓
আর কিছুদিন পরে, যে আমাকে তার হবু প্রেমিক ভেবেছিল—সে এলাকা ছেড়ে চলে গেল। মাঝখান থেকে আমি শুধু শুধু মার খেলাম। আজ সেই সোনালি যুগের কথা মনে পড়ল ক্যান্টনমেন্ট থেকে বের হওয়ার সময়, নিব্যা–নিব্বির প্রেম দেখে। আফসোস হলো—আমার বাবা-মা আমার ভালোবাসা বুঝতে পারেনি, অথচ ওদের বাবা-মা ঠিকই বুঝেছিল। 😔
😅 ভাবতেই পারি না—তখনকার প্রেমপত্র ছিল সোনার ডিমের হাঁস, আর আমি ছিলাম তার অযোগ্য মুরগি! 🐓
👉 আরও পড়ুন: যৌবনের অরণ্যে | Chhayaolao

0 মন্তব্যসমূহ