তুমি একা নও
নদীর ধারের সেই নরম বিকেলে, আকাশটা যেন একটু বেশি মলিন ছিল। হাওয়ার চলার শব্দটাও আজ অদ্ভুত নিস্তব্ধ— যেন পৃথিবী চুপ থেকে আমার মনটা শুনছিল। কেন জানি মনে হচ্ছিল, দীর্ঘ দিনের জমে থাকা দুঃখগুলো হঠাৎ হাওয়াতেই ভেসে বেড়াচ্ছে। দূরে গাছগুলোর পাতারা ঝরছিল শান্ত ছন্দে, প্রতিটি ঝরা পাতার শব্দ যেন বলছিল— “হারানো মানেই শেষ নয়, বরং নতুন শুরুর ইঙ্গিত লুকিয়ে আছে।” তবু মন বোঝে কোথায়? মেঘলা আকাশের ফাঁকে সূর্য লুকিয়ে থাকা দেখলে কখনও কখনও মনে হয়— উজ্জ্বল আলোও হয়তো ক্লান্ত হয়ে পড়ে। ঠিক সেই সময় পাশে এসে দাঁড়ায় বন্ধুত্ব। কোনো বড় কথা নয়, কোনো উপদেশ নয়, শুধু একটি নরম উপস্থিতি— যা বলে দেয়, “তুমি একা নও।” বন্ধুরা ঠিক প্রকৃতির মতোই— ঝড়ের রাতে গাছ যেমন দাঁড়িয়ে থাকে, তারা তেমনি দাঁড়িয়ে থাকে মনখারাপের দিনের প্রান্তে। নদীর মতো তারা সব দুঃখ বয়ে নিতে শেখায়, আলো-অন্ধকারের খেলায় পথ হারালে তারা চাঁদের আলো হয়ে পাশে টিকে থাকে। আমি বুঝলাম— দুঃখ আসেই, যায়ও। প্রকৃতি যেমন পরিবর্তনে ভরা, তেমনি মানুষের জীবনও। সবচেয়ে সুন্দর ব্যাপার হলো— এই পথচলায় বন্ধুত্বের হাতটা সবসময় আলতো, তবু সবচেয়ে শক্তভাবে ধরা থাকে।
কাব্য ও অরিণার প্রেম
0 মন্তব্যসমূহ